১৬ই নভেম্বর অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা মুখোমুখি হবে কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে।


বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল লাইন আপ এখন তৈরি হয়ে গেছে। ১৫ই নভেম্বর ভারত ও নিউজিল্যান্ড মুখোমুখি হবে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেডে স্টেডিয়ামে।

পরের দিন ১৬ই নভেম্বর অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা মুখোমুখি হবে কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে।

বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্ট চারটি দলের এই পর্যন্ত আসার পথ ছিল ভিন্নরকম।

ভারত যেমন প্রায় সব প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে, অস্ট্রেলিয়া শুরুটা করেছিল ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হারের মধ্য দিয়ে।

তবে এরপর টানা সাত ম্যাচে জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

দক্ষিণ আফ্রিকা বড় ব্যবধানে জয় যেমন পেয়েছে, আবার নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হারের স্বাদও পেয়েছে।


আগে ব্যাট করে সবগুলো ম্যাচেই বড় জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। পরে ব্যাট করে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হেরেছে, ভারতের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরেছে, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে কষ্ট করে জয় পেতে হয়েছে প্রোটিয়াদের।

কিন্তু ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়াকে এক কথায় পাত্তাই দেয়নি প্রোটিয়ারা।

অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ যাত্রা ছিল মিশ্র। চার ম্যাচে জয় দিয়ে শুরু, পরের চার ম্যাচে টানা হার। শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সেমিফাইনালে খেলা নিশ্চিত করেছে কেইন উইলিয়ামসনের দল।

সীমিত ওভারের সিরিজ শুরু হবে ১৭ই ডিসেম্বর।

‘বিশ্বকাপের নায়ক’ স্টোকস কি আর ওয়ানডে খেলবেন?


ইংল্যান্ডের জন্য ব্যর্থ এক বিশ্বকাপ অবশেষে শেষ হলো। এই ব্যর্থতার মধ্যেই চেষ্টা করেছেন ২০১৯ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক বেন স্টোকস।

পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচে স্টোকস তুলেছেন ৭৬ বলে ৮৪ রান।

ব্যর্থতায় ভরা বিশ্বকাপের ৯ ম্যাচের ৬টিতেই হেরেছে ইংল্যান্ড। জয় পেয়েছে নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বিপক্ষে।

এরপর স্টোকস আর ওয়ানডে ক্রিকেটে ফিরবেন কি না সেটাই এখন প্রশ্ন।

এর আগে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরে গিয়েছিলেন স্টোকস, তখন কারণ ছিল হাটুঁর চোট।

এখনও সেই চোট ভোগাচ্ছে স্টোকসকে।

স্টোকস বিশ্বকাপ শেষে বলেছেন, “এবারের ক্রিকেট বিশ্বকাপে যা হয়েছে তা ফিরে দেখলে খুবই হতাশার। কিন্তু এখান থেকেই এগোতে হবে। সিনিয়র ক্রিকেটাররা খুবই হতাশ। তরুণ ক্রিকেটাররাও একই অবস্থায় আছে”।


পাকিস্তানে বাবরের পারফরম্যান্স ও অধিনায়কত্ব নিয়ে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে।



বাবর অধিনায়ক থাকবেন?

ইংল্যান্ডের মতো করে না হলেও পাকিস্তানের বিশ্বকাপ যাত্রাও খুব একটা ভালো যায়নি।

২০০৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত- ছয়টি বিশ্বকাপে মাত্র একবার সেমিফাইনালে উঠতে পেরেছে পাকিস্তান।

পাকিস্তান এবারও নয় ম্যাচের পাঁচটিতেই হেরেছে।

বিশেষত মাঝপথে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টানা ম্যাচ হেরেছে।

বাবর আজমও নিজের সেরাটা দিতে পারেননি। নয় ম্যাচে ৪০ রানের গড় নিয়ে ব্যাট করেছেন, যেখানে বাবরের ওয়ানডে ক্যারিয়ার গড় ৫৬।

এবারের বিশ্বকাপে পাঁচটি হাফ সেঞ্চুরি করলেও তেমন প্রভাব রাখতে পারেননি তিনি।

পাকিস্তানে বাবরের পারফরম্যান্স ও অধিনায়কত্ব নিয়ে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে।


কিছুদিন আগেও পাকিস্তান ছিল র‍্যাংকিংয়ের এক নম্বর ওয়ানডে দল সেখান থেকে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের ব্যর্থতা এখন বাবরের অধিনায়কত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।

তবে পাকিস্তানের টিম ডিরেক্টর মিকি আর্থার বাবরের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি মনে করেন বাবরের এখনও শেখার বয়স রয়েছে।

এটাই অধিনায়ক হিসাবে বাবর আজমের প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ।


এর আগে ২০২১ ও ২০২২ সালে যথাক্রমে তিনি দলকে নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ও ফাইনালে খেলেছেন।

এবারের ক্রিকেট বিশ্বকাপে আসার আগে চোটের কারণে নাসিম শাহকে হারিয়ে পাকিস্তান বিপদে পড়েছিল, পরবর্তীতে হারিস রউফও ফর্ম হারিয়েছেন।

হারিস রউফ বিশ্বকাপ ইতিহাসের অন্যতম খরুচে বোলারের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন।