ইতিহাসের প্রথম ‘টাইমড আউট’: কী বলছেন রমিজ–স্টেইন–ওয়াকাররা
ঘটনার শুরু বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ২৪.২ ওভারের সময়। সাদিরা সামারাবিক্রমা মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার পরের দৃশ্য। শ্রীলঙ্কার রান তখন ৪ উইকেটে ১৩৫। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে এলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। কিন্তু উইকেটে গিয়ে তিনি দেখলেন, তাঁর হেলমেটের স্ট্র্যাপে কোনো একটা সমস্যা। সম্ভবত ওটা ছেঁড়াই ছিল। তিনি ড্রেসিংরুমে ইশারা করলেন নতুন হেলমেটের জন্য। অতিরিক্ত খেলোয়াড়ের মাধ্যমে নতুন হেলমেট আনতে কিছুটা দেরি হয়ে গেল। এই সময় অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের বিপক্ষে ‘টাইমড আউটে’র আপিল করে বাংলাদেশ।
ক্রিকেটের আইনপ্রণেতা এমসিসির ওয়েবসাইটে ‘টাইমড আউট’ অংশে ৪০.১.১ ধারায় বলা হয়েছে, ‘উইকেট পতনের পর কিংবা ব্যাটসম্যান রিটায়ার্ড হওয়ার পর নতুন ব্যাটসম্যান ৩ মিনিটের মধ্যে পরবর্তী বলের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত হবেন। এই শর্ত পূরণ করতে না পারলে নতুন ব্যাটসম্যান আউট হবেন। টাইমড আউট।’
তবে বিশ্বকাপে আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশনে বলা আছে, ৩ মিনিট নয়, ব্যাটসম্যানকে পরবর্তী বলের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত থাকতে হবে ২ মিনিটের মধ্যে। হেলমেট বদলাতে গিয়ে ম্যাথুস সেই সময়ের মধ্যে ব্যাটিংয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে পারেননি। ফলে বাংলাদেশের আপিল ও ক্রিকেটের আইন মেনে ম্যাথুসকে ‘টাইমড আউট’ দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় ছিল না আম্পায়ারদের।
টেলিভিশনে দেখা গেছে, আউট নিয়ে মাঠেই ম্যাথুস আম্পায়ারের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা বলেছেন। একপর্যায়ে বিষয়টা নিয়ে সাকিবের কাছে গেছেন তিনি। কিন্তু সাকিব তাঁকে আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। কিন্তু আম্পায়াররা সিদ্ধান্ত বদলাননি। এরপর হতাশা নিয়েই মাঠ ছেড়ে যান ম্যাথুস। বাউন্ডারি লাইনের বাইরে গিয়ে ছুড়ে ফেলেন হেলমেটও।
0 Comments