ফিলিস্তিনের আয়তন কত ?


প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যারা ছিল ব্রিটেন-বিরোধী জোটে৷ তখন যুদ্ধ জয়ে ফিলিস্তিনদের সহযোগিতা পাওয়ার আশায় ১৯১৭ সালে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড বেলফোর যুদ্ধে জয়ী হলে, এই ভূমিতে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হবে বলে আশ্বাস দেন৷ যা ইতিহাসে "বেলফোর ঘোষণা" হিসেবে পরিচিত৷ যেহেতু ফিলিস্তিন অঞ্চলে আরবীয়রা ছিল ইহুদিদের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি, সেহেতু ঘোষণাটি তাদের অনুকূল বলেই ধরে নেয় স্থানীয় আরবীয়রা।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটেনের প্রয়োজনে দুর্লভ বোমা তৈরির উপকরণ কৃত্রিম ফসফরাস তৈরি করতে সক্ষম হন ইহুদি বিজ্ঞানী ড. হেইস বাইজম্যান৷ 
ফলে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডটি ইহুদিদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেয় ব্রিটেন৷

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ জয়ের পর ব্রিটেন স্বাধীনতা দেয়ার অঙ্গীকারে ১৯১৮ সাল থেকে ৩০ বছর দেশটিকে নিজেদের অধীন রাখে৷ মূলত এই সময়টিই ফিলিস্তিনকে আরব-শূন্য (বিশেষত মুসলিম-শূন্য) করার জন্য কাজে লাগায় ইঙ্গ-মার্কিন শক্তি৷

১৯৪৭ সালের ২৯ নভেম্বর ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইঙ্গ-মার্কিন চাপে জাতিসংঘে ভোট গ্রহণ করা হয়, তাতে ৩৩টি রাষ্ট্র ফিলিস্তিনে ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে, ১৩টি বিপক্ষে এবং ১০টি ভোট প্রদানে বিরত থাকে৷ প্রস্তাব অনুযায়ী মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ হয়েও ইহুদিরা পেল ভূমির ৫৭% আর ফিলিস্তিনীরা পেল ৪৩% তবে প্রস্তাবিত ইহুদি রাষ্ট্রটির উত্তর-পশ্চিম সীমানা ছিল অনির্ধারিত ফলে ভবিষ্যতে ইহুদিরা সীমানা বাড়াতে পারে৷ এভাবে ইহুদিদের কাঙ্ক্ষিত ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত হয়ে পড়ে।
 

ফিলিস্তিন অঞ্চলের কার্যত মালিকানা লাভের পর। ইহুদি বসতি বাড়ানোর লক্ষ্যে এবং ফিলিস্তিনদের উচ্ছেদ করার উদ্দেশে। রাতে তাদের ফোন লাইন, বিদ্যুৎ লাইন কাটা, বাড়িঘরে হ্যান্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ, জোর করে জমি দখল এবং বিভিন্নভাবে নারী নির্যাতনের মতো কাজে জড়িয়ে পড়লো। স্থানীয় ও বহিরাগত ইহুদি ও সরকারের মদদপুষ্ট সেনাবাহিনী৷ ফলে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি আরব দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। 




ইসরায়েলি সরকার ফিলিস্তিনে কোনো কৌশলগত ভিত্তি স্থাপনের অনুমতি দেয়নি বা অন্যদের কথোপকথন শুনে আপনি বলতে পারেন যে প্যালেস্টাইন স্বাধীন। এটি এমন একটি স্বাধীনতা যা ইসরাইল লজ্জাজনকভাবে বা কার্যকরভাবে ফিলিস্তিনিদের অস্বীকার করেছে।

যাই হোক না কেন, সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে থাম্বিং করা হয়েছে হামাসের দ্বারা যার নিজস্ব সামরিক বাহিনী রয়েছে। তবুও, বিশ্বব্যাপী স্থানীয় এলাকা এটিকে শুরু থেকে আক্রমণকারী দল হিসাবে নামকরণ করে আসছে। পশ্চিম তীরের ব্যক্তিদের কোন মৌলিক সুবিধা বা সুযোগ নেই, সবকিছুই ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীর অনিয়মিত পছন্দের উপর নির্ভর করে। ইসরায়েল গাজার ব্যক্তিদের বাধা দেয় কারণ তারা তাদের খারাপ আচরণ স্বীকার করে না। মূলত ফিলিস্তিনিরা তাদের ভূখণ্ডে মৌলিক স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত এবং অবরুদ্ধ কারাগারে বসবাস করছে।




চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ফিলিস্তিনের কোনও সশস্ত্র বাহিনী গড়ে উঠলে সেখানকার সরকার নিজেই সেই বাহিনীকে ইসরায়েলের হাতে তুলে দেবে। এর অন্যথায় ইসরায়েল ফিলিস্তিন আক্রমণ করবে। 



ফিলিস্তিন সরকার তাদের দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে আধা সামরিক বাহিনী গঠন করতে পারবে। কিন্তু পুরোদস্তুর সামরিক বাহিনী তারা রাখতে পারবে না। নিরাপত্তার স্বার্থে যে আধা সামরিক বাহিনী ফিলিস্তিন গঠন করবে, তার উপরও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। বাহিনীর পরিসীমা বেঁধে দেয় ইজ়রায়েল। ঠিক হয়, এই বাহিনীর গতিবিধি, অস্ত্রবহন ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করবে ইসরায়েল।

ফিলিস্তিনের পুলিশ বাহিনীতে কারা নিযুক্ত হবেন, কারা তার মাথায় বসবেন, তা নির্ধারণের ভারও নিজের হাতে নিয়ে নেয় ইসরায়েল। ফলে এই বাহিনীও প্রকারান্তরে চলে যায় ইসরায়েলের হাতেই। ফিলিস্তিনের পুলিশ বাহিনীর নাম প্রথমে ছিল ন্যাশানাল সিকিউরিটি ফোর্স বা জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। পরে নাম বদলে দেওয়া হয় ফিলিস্তিনি সিকিউরিটি ফোর্স বা ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা বাহিনীতে। দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত সকলেই এই বাহিনীর অন্তর্গত।

গাজায় সমুদ্র উপকূল পাহারা দেওয়ার জন্য নৌ-সেনা থেকে শুরু করে দেশের পরিবহণ পরিচালনার জন্য ট্র্যাফিক পুলিশ, এই বাহিনীরই অঙ্গ। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, চুক্তির শর্তকে কাজে লাগিয়ে এই বাহিনীকে তারা ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করেছে একাধিক বার।

২০০৬ সালে ফিলিস্তিনের নির্বাচনে জয়লাভ করে হামাস। তারা ক্ষমতায় আসার পর তাদের নিজস্ব সরকারি বাহিনী গড়ে তুলেছিল। যার নাম দেওয়া হয়েছিল এগ্জিকিউটিভ ফোর্স। পরে হামাস ক্ষমতাচ্যুত হলে এই বাহিনী ভেঙে যায়। ফিলিস্তিনে সক্রিয় একটি সশস্ত্র বাহিনীর নাম ইজ-আদ-দিন-আল-কাসাম ব্রিগেড। এটি মূলত হামাসের সামরিক শাখা। ১৯৯০ সালে এই বাহিনী গড়ে তোলা হয়েছিল। হামাসের শক্তির অন্যতম উৎস এই বাহিনী।

হামাসের দাবি, ফিলিস্তিনকে ইহুদি আগ্রাসনমুক্ত করতে কাজ করে তারা। গোপনে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে সদস্যদের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করে। তবে ইসরায়েল, আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দুনিয়া এই সংগঠন এবং তার বাহিনীকে সন্ত্রাসবাদীর তকমা দিয়েছে। হামাসকে অর্থনৈতিক দিক থেকে সাহায্য করে ইরান। হামাসের কাছে তারা অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করে বলেও শোনা যায়। এ ছাড়া, ইসরায়েলের অভিযোগ, চীন এবং উত্তর কোরিয়া থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে হামাস।


স্বাধীন ফিলিস্তিনে সামরিক বাহিনী 
থাকতে পারবে না - নেতানিয়াহু

পৃথক প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের কথা বললেন নেতানিয়াহু, তবে শর্তসাপেক্ষে৷ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের নানান প্রতিক্রিয়া শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে৷

তেল আভিভের বার-ইলান বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দিয়েছেন গত রবিবার৷ সেখানে শর্তাধীনে প্যালেস্টাইনের পৃথক রাষ্ট্রস্বীকৃতির কথা বলেছেন তিনি৷ শর্তের মধ্যে অন্যতম অবশ্যই প্যালেস্টাইনের সামরিক বাহিনীর অপ্রয়োজনীয়তা৷ যে প্রসঙ্গটি নেতানিয়াহু অতীতেও উল্লেখ করেছেন৷ তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার হাতে নেওয়ার পর মধ্য দক্ষিণপন্থী নেতানিয়াহু এই প্রথম পৃথক প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের কথা বলায় সেই মন্তব্যকে বেশ ইতিবাচক সুরে স্বাগত জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ যদিও অধিকৃত প্যালেস্টাইন ভূখন্ডে ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণের ব্যাপারটি অবিলম্বে বন্ধ না করা হলে তার পরিণতি তেমন সুখকর হবে না বলে মন্তব্য শোনা গেছে সোমবার লুক্সেমব্যুর্গে আয়োজিত ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে৷

লন্ডনে সোমবার বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন নেতানিয়াহুর বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য অবশ্যই এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক৷ তবে একে বাস্তবায়ন করার কাজটা অত্যন্ত দুরূহ তাই সাবধানে এগোনোই বুদ্ধিমানের কাজ৷ পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির রোডম্যাপ বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে ইসরায়েলের বসতি সম্প্রসারণের কাজ বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তার দিকেও জোর দেন ব্রাউন৷ লন্ডনে হাউস অব কমন্সে ব্রাউন সোমবার জানান, পরবর্তী পর্যায়ে নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা হলে ব্যক্তিগতভাবে বসতি সম্প্রসারণের কাজ অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীকে তিনি অনুরোধ জানাবেন৷

অধিকৃত প্যালেস্টাইনি ভূখন্ডে ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণের ইস্যুতেই ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অধিক উদ্বিগ্ন এরকম ধারণা আরও জোরদার হয়েছে সাইপ্রাস এবং ফিনল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য থেকে৷ তাছাড়া, নেতানিয়াহু তাঁর বক্তব্যে যেভাবে প্রায় সম্পূর্ণ সামরিক শক্তিশূণ্য পৃথক প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের কথা বলেছেন, সমালোচনা শোনা গেছে সেই মন্তব্যেরও৷ নেতানিয়াহুর প্রস্তাব অনুযায়ী পৃথক প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র ইসরায়েলের শত্রু বলে পরিচিত সিরিয়া এবং ইরানের সঙ্গে কোন চুক্তি করতে পারবে না৷ এবং ইসরায়েলকে ইহুদি রাষ্ট্র হিসাবে তাদের স্বীকৃতি দিতে হবে৷ সাইপ্রাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কোস কাইপিরানাউ সংবাদসংস্থা ডি পি এ-কে জানান, এইসব শর্ত কখনোই ইউরোপিয় মানের উপযোগী হতে পারে না৷

লেবানন থেকেও নেতানিয়াহুর এই শর্তাধীন দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের সমালোচনা শোনা গেছে সোমবার৷ সেদেশের প্রেসিডেন্ট মিশেল সুলাইমান নেতানিয়াহুর এই সমাধানসূত্রকে অত্যন্ত অনমনীয় বলে ব্যাখ্যা করেছেন৷ সুলাইমানের মতে, এ বিষয়ে আরব নেতৃত্বের একটি সার্বিক ঐকমত্য আশু প্রয়োজন৷ পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলের কাছে সুলাইমানের অনুরোধ, শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে আসতে ইসরায়েলের ওপর চাপ দিক বিশ্বনেতৃত্ব৷


ফিলিস্তিন বনাম ইসরায়েল: কার সামরিক শক্তি কত?

পরমাণু অস্ত্রসমৃদ্ধ বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক সেনাবাহিনীর একটি রয়েছে ইসরায়েলের। অন্যদিকে ফিলিস্তিনিদের নিজস্ব কোনও রাষ্ট্র কিংবা নিয়মিত সেনাবাহিনী নেই। এমনকি দখলদারদের প্রতিরোধ করে নিজেদের আত্মরক্ষার মতো যথেষ্ট সামারিক সক্ষমতাও নেই তাদের। তাই যদি ইসরায়েল-ফিলিস্তানের মধ্যে পুরোদমে যুদ্ধ বেধে যায়, তবে তা একপাক্ষিক হবে। সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সক্ষমতায় ইসরায়েল ফিলিস্তানের থেকে অনেক অনেক বেশি এগিয়ে।

এর নেপথ্যে রয়েছে ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের বিপুল সামরিক সহায়তা প্রদান। মার্কিন প্রশাসন মনে করে, মধ্যপ্রাচ্যে নিজের পরোক্ষ আধিপত্য ধরে রাখতে ইসরায়েলকে ক্রমাগত শক্তিশালী করতে হবে। এছাড়া পশ্চিমা দেশগুলোও রয়েছে ইসরায়েলের পক্ষে। ফলে বৈধ ভূমি থাকার পরও ফিলিস্তিন আজও রাষ্ট্র হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি পায়নি। অন্যদিকে অবৈধভাবে আরবদের ভূমি দখল করে ইসরায়েল পেয়েছে জাতিসংঘের মর্যাদা।

চলুন, দেখে নেয়া যাক ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে কার সামরিক শক্তি কত?

ইসরায়েল সেনাবাহিনী

সক্রিয় সেনা সদস্য: ১ লাখ ৭০ হাজার।
প্রশিক্ষিত জনসংখ্যা: ৩০ লাখ।
সেনাবাহিনীর বাজেট: ২০ বিলিয়ন ডলার।


ফিলিস্তিনের সামরিক বাহিনী

নিয়মিত কোনও সেনাবাহিনী নেই। বিভিন্ন গ্রুপ মিলে ৩০ থেকে ৫০ হাজার সদস্য রয়েছে। এর মধ্যে হামাসের রয়েছে ১০-২০ হাজার। কাসেম ব্রিগেডের ৭-১০ হাজার সদস্য রয়েছে। এছাড়া ফিলিস্তিন ইসলামি জিহাদের ৯-১০ হাজার।

ইসরায়েলের অস্ত্র

অস্ত্রের নিজস্ব কারখানা রয়েছে। বিদেশেও রপ্তানি করে। ৯০টি গোপন পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। যুদ্ধবিমান ৬৮৪টি। বিমান বাহিনী ৩৪ হাজার, নৌবাহিনী ১০ হাজার, যুদ্ধজাহাজ ৪টি। ক্ষেপণাস্ত্রবাহী বোট ৮টি। সাবমেরিন ৫টি। প্যাট্রোল বোট ৪৫টি। সাপোর্ট শিপ ২টি।

অত্যাধুনিক ব্যালেস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে ইসরায়েলের, যা পাশের দেশ মিসর, সিরিয়া ও ইরানে হামলা করতে সক্ষম। এছাড়া ১ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রোড ডোম। রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে অস্ত্র রপ্তানি করে ইসরায়েল।

হামাসের অস্ত্র

১০০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার রেঞ্জের কয়েক ডজন রকেট রয়েছে। ৭০-৮০ কিলোমিটার রেঞ্জের আরও কিছু রকেট রয়েছে। নতুন উদ্ভাবিত একটি রকেটের পাল্লা আড়াইশ কিলোমিটার বলে জানিয়েছে হামাস।

ইসলামিক জিহাদ

১০০ কিলোমিটার রেঞ্জের কয়েকটি রকেট রয়েছে।