মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি খেলে ডায়াবেটিস হয়, এমন একটি ধারণা বেশ প্রচলিত
আর ঠিক এই কারণেই এমন একটি ধারণাও বেশ প্রচলিত যে ডায়াবেটিস হওয়ার অন্যতম বড় কারণ মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি খাওয়া।
কিন্তু এই ধারণা আসলে কতটুকু সত্য?
চিনি বেশি খেলে কি সত্যিই ডায়াবেটিস হয়?
ডায়াবেটিস কী?
ডায়াবেটিস এমন একটি শারীরিক অবস্থা যার কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তে শর্করার মাত্রা অনেক বেশি বেড়ে যায়। এতে একবার কেউ আক্রান্ত হলে সারা জীবনের জন্যে তা বয়ে বেড়াতে হয়।
খাবার খাওয়ার পর শরীর সেই খাবারের শর্করাকে ভেঙে চিনিতে (গ্লুকোজ) রুপান্তরিত করে। আর এটি শরীরে শক্তির যোগান দেয়।
তবে ডায়াবেটিস হলে শরীরের কোষগুলো আগে যে চিনিকে জ্বালানি বা শক্তিতে পরিণত করতো, সেই চিনি কোষের পরিবর্তে রক্তের মধ্যে জমা হতে শুরু করে। ফলে ডায়াবেটিস হয়।
ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশনের দেয়া সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ডায়াবেটিস এমন এক দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা যার ফলে শরীর কার্যকরভাবে ইনসুলিন হরমোন তৈরি করতে পারে না।
“ডায়াবেটিস হলে মানুষের শরীরে গ্লুকোজ স্থায়ীভাবে বেড়ে যায়। আর কোন ধরনের প্রতিকার না নেয়া হলে এটা বাড়তেই থাকে। ফলে অনেক জটিলতা তৈরি হয়”, বলেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতির সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক একে আজাদ খান।
ডায়াবেটিস হলে কেবল চিনিই না, আরও অনেক বিপাকীয় সমস্যা তৈরি হয়। তবে রক্তে চিনির পরিমাণ মেপে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা হয় বলে এটি নিয়েই বেশি আলাপ-আলোচনা হয় বলে মনে করেন এই চিকিৎসক।
বাংলাদেশে এক কোটিরও বেশি মানুষ ডায়াবেটিক
ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশনের হিসেবে বর্তমানে বিশ্বের ৫৩ কোটিরও বেশি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, আর এতে প্রতি বছর মৃত্যু হয় ৬৭ লাখ মানুষের।
এর মধ্যে আক্রান্তদের তিন-চতুর্থাংশ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের নাগরিক।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ২০২৩ সালে প্রকাশিত ডায়াবেটিস চিকিৎসার জাতীয় নির্দেশিকায় দেয়া তথ্যমতে, ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে অষ্টম।
বাংলাদেশে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৩১ লাখ। এদের মধ্যে ২০ থেকে ৮০ বছর বয়সীদের মধ্যে ১৪ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ এই রোগে ভুগছেন।
কত ধরনের ডায়াবেটিস আছে?
ডায়াবেটিস হয় মূলত দুই ধরনের। এগুলো হলো টাইপ-১ ডায়াবেটিস ও টাইপ-২ ডায়াবেটিস।
টাইপ-১ ডায়াবেটিস মূলত জেনেটিক বা বংশগত। বাহ্যিক কোন কারণে কেউ টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয় না।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ কেন্দ্র সিডিসি ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, অটোইমিউন প্রতিক্রিয়ার কারণেই কোন ব্যক্তি টাইপ ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়। অর্থাৎ শরীর ভুল করে নিজেকে আক্রমণ করে।
এর ফলে শরীর নিজেই ইনসুলিন তৈরি বন্ধ করে দেয়।
ডায়াবেটিস আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় পাঁচ থেকে ১০ শতাংশ মানুষের টাইপ ১- ডায়াবেটিস আছে। একজন মানুষের যেকোনো বয়সে এই টাইপটি ধরা পড়তে পারে।
“একজনের পরিবারের কারও ডায়াবেটিস আছে, তার মানে ওই ব্যক্তির ডায়াবেটিস হবার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু সম্ভাবনা থাকলেই যে হবে এমনটা না।"
"কেউ যদি শারীরিক পরিশ্রম না করে, মুটিয়ে যায়, বিশেষ করে পেট মোটা হয়ে যায়- তাহলে তার ডায়াবেটিস হবে”, বলেন ড. খান।
স্থূলতার কারণে ডায়াবেটিস হতে পারে।
স্থূলতা কি: কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা
যদিও স্থূলতার অনেক কারণ রয়েছে, তবে স্থূলতার দিকে পরিচালিত করার প্রাথমিক কারণ হল একটি আসীন জীবনধারা। যথেষ্ট সক্রিয় না থাকা, যখন চাপ এবং অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসের সাথে মিলিত হয়, তখন আপনার শরীরের উপর বিশাল নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আপনি যখন স্থূল হন, তখন আপনি আপনার হার্টকে প্রভাবিত করে, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং আরও অনেক কিছুর জন্য আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হন।
প্রাথমিক স্থূলতার লক্ষণগুলি উপেক্ষা করা খুব সহজ যেমন ঘামের অভাব বা খুব বেশি ঘাম। এটি আরও জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে কারণ স্থূলতা সময়ের সাথে সাথে আপনার স্বাস্থ্যকে আরও খারাপ করে। ধারাবাহিকভাবে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা আপনাকে স্থূলতার চিকিৎসা থেকে উপকৃত হতে সাহায্য করতে পারে। আরো জানতে পড়ুন।
স্থূলতার কারণ এবং ঝুঁকির কারণ
একটি আসীন এবং অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করা স্থূলতার অন্যতম সাধারণ কারণ। আপনি যখন কম শারীরিক ক্রিয়াকলাপ করেন এবং বেশি চর্বি গ্রহণ করেন, তখন আপনার শরীর এটি যে পরিমাণ ব্যবহার করে তার চেয়ে বেশি সঞ্চয় করে। এটি অবশেষে ওজন বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করে, যার ফলে স্থূলতা হতে পারে। একটি অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার মধ্যে রয়েছে জাঙ্ক ফুড খাওয়া যা মোটাতাজাক এবং উচ্চ-ক্যালোরি সামগ্রী রয়েছে। এর অর্থ পানীয় পান করা এবং নিয়মিত প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া যাতে বেশি চিনি থাকে। অপর্যাপ্ত ঘুম এবং দুর্বল স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট স্থূলতার অন্যান্য কারণ। এ ছাড়া আপনার বয়সও আপনাকে স্থূলতার ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
জীবনধারা ছাড়াও, আপনার জেনেটিক্স এবং চিকিৎসা ইতিহাসও স্থূলতার কারণ হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। বলুন আপনার বাবা-মা বা নিকটাত্মীয়দের স্থূলতা আছে বা আছে। এটি আপনার জন্য স্থূলত্বের অন্যতম কারণ হতে পারে কারণ জিন এবং জীবনযাত্রার অভ্যাসগুলি সরাসরি আপনার শরীরের সঞ্চয় এবং আপনি যে চর্বি গ্রহণ করেন তা বিতরণকে প্রভাবিত করতে পারে। স্বাস্থ্যের অবস্থার চিকিৎসার জন্য কিছু ওষুধও স্থূলতার দিকে পরিচালিত করতে পারে।
স্থূলতার লক্ষণ
স্থূলত্বের কারণগুলি জানা ছাড়াও, এই সমস্যাটিকে ট্র্যাকগুলিতে থামাতে সাধারণ স্থূলতার লক্ষণগুলির উপর নজর রাখুন। একটি প্রাথমিক এবং সর্বাধিক প্রচলিত স্থূলতার লক্ষণ হল ওজন বৃদ্ধি। যেহেতু ওজন বৃদ্ধি সাধারণত ধীরে ধীরে হয় এবং কিছুক্ষণ পরেই দৃশ্যমান হয়, আপনি এটি উপেক্ষা করতে পারেন। যদিও সামান্য ওজন বৃদ্ধি গ্রহণযোগ্য, একটি ক্রমাগত প্যাটার্ন স্থূলতার মতো অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যাগুলি নির্দেশ করতে পারে।
ওজন বৃদ্ধি ছাড়াও, আপনি এই সাধারণ স্থূলতার লক্ষণগুলি লক্ষ্য করতে পারেন৷
একটি আসীন এবং অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করা স্থূলতার অন্যতম সাধারণ কারণ। আপনি যখন কম শারীরিক ক্রিয়াকলাপ করেন এবং বেশি চর্বি গ্রহণ করেন, তখন আপনার শরীর এটি যে পরিমাণ ব্যবহার করে তার চেয়ে বেশি সঞ্চয় করে। এটি অবশেষে ওজন বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করে, যার ফলে স্থূলতা হতে পারে। একটি অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার মধ্যে রয়েছে জাঙ্ক ফুড খাওয়া যা মোটাতাজাক এবং উচ্চ-ক্যালোরি সামগ্রী রয়েছে। এর অর্থ পানীয় পান করা এবং নিয়মিত প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া যাতে বেশি চিনি থাকে। অপর্যাপ্ত ঘুম এবং দুর্বল স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট স্থূলতার অন্যান্য কারণ। এ ছাড়া আপনার বয়সও আপনাকে স্থূলতার ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
জীবনধারা ছাড়াও, আপনার জেনেটিক্স এবং চিকিৎসা ইতিহাসও স্থূলতার কারণ হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। বলুন আপনার বাবা-মা বা নিকটাত্মীয়দের স্থূলতা আছে বা আছে। এটি আপনার জন্য স্থূলত্বের অন্যতম কারণ হতে পারে কারণ জিন এবং জীবনযাত্রার অভ্যাসগুলি সরাসরি আপনার শরীরের সঞ্চয় এবং আপনি যে চর্বি গ্রহণ করেন তা বিতরণকে প্রভাবিত করতে পারে। স্বাস্থ্যের অবস্থার চিকিৎসার জন্য কিছু ওষুধও স্থূলতার দিকে পরিচালিত করতে পারে।
স্থূলত্বের কারণগুলি জানা ছাড়াও, এই সমস্যাটিকে ট্র্যাকগুলিতে থামাতে সাধারণ স্থূলতার লক্ষণগুলির উপর নজর রাখুন। একটি প্রাথমিক এবং সর্বাধিক প্রচলিত স্থূলতার লক্ষণ হল ওজন বৃদ্ধি। যেহেতু ওজন বৃদ্ধি সাধারণত ধীরে ধীরে হয় এবং কিছুক্ষণ পরেই দৃশ্যমান হয়, আপনি এটি উপেক্ষা করতে পারেন। যদিও সামান্য ওজন বৃদ্ধি গ্রহণযোগ্য, একটি ক্রমাগত প্যাটার্ন স্থূলতার মতো অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যাগুলি নির্দেশ করতে পারে।
ওজন বৃদ্ধি ছাড়াও, আপনি এই সাধারণ স্থূলতার লক্ষণগুলি লক্ষ্য করতে পারেন৷
* ছোট শারীরিক কার্যকলাপের পরেও শ্বাসকষ্ট
* স্লিপ অ্যাপনিয়া, নাক ডাকা বা ঘুমের সমস্যা
* স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঘাম হয়
* অবিরাম ক্লান্তি অনুভূতি
* জয়েন্টে এবং পিঠে ব্যথা
* আপনার কোমরের কাছে অতিরিক্ত এবং দৃশ্যমান ওজন বৃদ্ধি
* স্ট্রেচ মার্ক এবং অন্যান্য ত্বকের সমস্যা
* ফ্যাটি টিস্যু জমা, বিশেষ করে বুকের চারপাশে
* কম আত্মসম্মান বা বিষণ্নতা
মনে রাখবেন যে স্থূলতার লক্ষণগুলি প্রাপ্তবয়স্ক এবং কিশোর বা শিশুদের মধ্যে আলাদা বা ওভারল্যাপ হতে পারে।
* স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঘাম হয়
* অবিরাম ক্লান্তি অনুভূতি
* জয়েন্টে এবং পিঠে ব্যথা
* আপনার কোমরের কাছে অতিরিক্ত এবং দৃশ্যমান ওজন বৃদ্ধি
* স্ট্রেচ মার্ক এবং অন্যান্য ত্বকের সমস্যা
* ফ্যাটি টিস্যু জমা, বিশেষ করে বুকের চারপাশে
* কম আত্মসম্মান বা বিষণ্নতা
মনে রাখবেন যে স্থূলতার লক্ষণগুলি প্রাপ্তবয়স্ক এবং কিশোর বা শিশুদের মধ্যে আলাদা বা ওভারল্যাপ হতে পারে।
টাইপ ১- ডায়াবেটিসে কেউ আক্রান্ত হলে শুরুতেই লক্ষণগুলো দেখা যায়। কারও যদি এই ডায়াবেটিস থাকে, তবে বেঁচে থাকার জন্য তাকে প্রতিদিন ইনসুলিন নিতে হয়।
টাইপ ১- ডায়াবেটিস প্রতিরোধের উপায় এখনো আবিষ্কার হয়নি।
অন্যদিকে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তের কারণ হলো অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন।
ডায়াবেটিস রোগীদের বেশির ভাগই টাইপ ২-তে আক্রান্ত হয়। সিডিসির হিসেব মতে, তা ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ।
সাধারণত বহু বছর ধরে এই টাইপের ডায়াবেটিস শরীরে দানা বাঁধে এবং প্রাপ্তবয়স্ক হবার পর তা ধরা পড়ে।
“টাইপ ২-ডায়াবেটিসের শুরুতে সাধারণত উপসর্গ থাকে না। বরং (শরীরের ভেতরেই) বিভিন্ন জটিলতার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়” বলেন জাতীয় অধ্যাপক ড. খান।
সুস্থ জীবনযাপন যেমন- ওজন কম রাখা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং শরীরকে সক্রিয় রাখার মাধ্যমে টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা যেতে পারে।
টাইপ ১- ডায়াবেটিস প্রতিরোধের উপায় এখনো আবিষ্কার হয়নি।
অন্যদিকে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তের কারণ হলো অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন।
ডায়াবেটিস রোগীদের বেশির ভাগই টাইপ ২-তে আক্রান্ত হয়। সিডিসির হিসেব মতে, তা ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ।
সাধারণত বহু বছর ধরে এই টাইপের ডায়াবেটিস শরীরে দানা বাঁধে এবং প্রাপ্তবয়স্ক হবার পর তা ধরা পড়ে।
“টাইপ ২-ডায়াবেটিসের শুরুতে সাধারণত উপসর্গ থাকে না। বরং (শরীরের ভেতরেই) বিভিন্ন জটিলতার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়” বলেন জাতীয় অধ্যাপক ড. খান।
সুস্থ জীবনযাপন যেমন- ওজন কম রাখা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং শরীরকে সক্রিয় রাখার মাধ্যমে টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা যেতে পারে।
রক্তে চিনির পরিমাণ বেশি হলে রক্তনালীর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
শরীরে যদি রক্ত ঠিক মতো প্রবাহিত হতে না পারে, যেসব জায়গায় রক্তের প্রয়োজন সেখানে যদি এই রক্ত পৌঁছাতে না পারে, তখন স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
এর ফলে মানুষ দৃষ্টি শক্তি হারাতে পারে। ইনফেকশন হতে পারে পায়ে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, অন্ধত্ব, কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ইত্যাদির পেছনে একটি বড় কারণ ডায়াবেটিস।
অতিরিক্ত চিনি খাওয়া পরোক্ষভাবে ডায়াবেটিস হতে সাহায্য করতে পারে
চিনির সঙ্গে ডায়াবেটিসের কী সম্পর্ক?
চিনি বেশি খাওয়ার সঙ্গে ডায়াবেটিস হওয়ার সরাসরি কোনও যোগসূত্র নেই। তবে চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার ডায়াবেটিস হবার ক্ষেত্রে পরোক্ষ প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।
“চিনি খাওয়ার সঙ্গে ডায়াবেটিস হওয়ার যেমন সরাসরি সম্পর্ক নাই- এটা যেমন সত্য, আপনি যদি বেশি মিষ্টি খেতে অভ্যস্ত হন, তাহলে মুটিয়ে যেতে পারেন।"
"আর মুটিয়ে গেলে পরোক্ষভাবে তা ডায়াবেটিস হতে সাহায্য করবে” বলেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক একে আজাদ খান।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট মেডিক্যাল নিউজ টুডে’তে বলা হয়েছে, প্রচুর চিনি খাওয়ার কারণে সরাসরি ডায়াবেটিস হয় না।
কিন্তু এটি স্থূলতা, হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
ফলে ওই ব্যক্তি সহজেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারে।
যে সব লক্ষণ দেখলে সতর্ক হতে হবে:
ডায়াবেটিস হলে সাধারণত মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
ফলে এর নির্দিষ্ট কোন লক্ষণ না থাকলেও শরীরে বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্যের উপস্থিতি ডায়াবেটিসের জানান দিতে পারে। যেমন-
কী করলে ডায়াবেটিস ঠেকানো যায়?
কেউ যদি বংশগতভাবে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়, তবে খুব বেশি কিছু করার থাকে না। তবে পারিপার্শ্বিক প্রভাবের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মেনে চললে ডায়াবেটিস ঠেকানো যেতে পারে। যেমন-
১. প্রতিদিন এক ঘণ্টা হাঁটা
বর্তমান সময়ে জীবনযাপনের ধরনের কারণে খুব কম সংখ্যক মানুষ কায়িক পরিশ্রম করেন। আর এই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হবার প্রবণতাকে উসকে দেয়।
ড. খান বলেন, এজন্য প্রতিদিন নিয়ম করে অন্তত এক ঘণ্টা হাঁটতে হবে। পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। খেলাধুলা বাড়ানো যেতে পারে।
২. জীবনধারা বদলানো
এছাড়া যাদের পরিবার বা বাবা-মায়ের ডায়াবেটিস হওয়ার ইতিহাস রয়েছে, তাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আগেই জীবনযাপনের ধরন পাল্টানো উচিত।
যেমন- নিয়মিত খাবার খাওয়া, নিয়ম মেনে সকালে ঘুম থেকে ওঠা এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়া, যানবাহন ব্যবহার কমিয়ে হাঁটাচলা বাড়ানো, মিষ্টি জাতীয়, ফাস্টফুড ও তৈলাক্ত খাবার পরিহার করা ইত্যাদি।
৩. ধূমপান ও মদ্যপান ছেড়ে দেয়া
ডায়াবেটিস রোগ ঠেকাতে যেসব খারাপ অভ্যাস সবার আগে বাদ দিতে হবে, তার মধ্যে রয়েছে ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস। কারণ এগুলো ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বাড়িয়ে দেয়।
৪. অস্বাস্থ্যকর খাবার বাদ দেয়া
সাধারণ মিষ্টিজাতীয় খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্টফুড, কোমল পানীয়, ভারী খাবার স্থূলতার ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দেয়। ফলে শরীরের ওজনের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে, যাতে কোনভাবেই অতিরিক্ত ওজন বা মুটিয়ে যাওয়া না হয়।
এজন্য বিশেষজ্ঞরা এ ধরনের খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন।
এছাড়া এক বেলা পেট ভরে না খেয়ে পরিমাণে অল্প অল্প করে বিরতি দিয়ে খাওয়া।
৫. রক্তে চিনির মাত্রার ওপর নজর রাখুন
যাদের শিশুর ঘনিষ্ঠ স্বজনদের ডায়াবেটিসের ইতিহাস রয়েছে, তাদের বছরে অন্তত একবার করে পরীক্ষা করাতে হবে।
সেই সঙ্গে বছরে অন্তত একবার লিপিড প্রোফাইল ও রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাও পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
ফলে ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলেও দ্রুত তা শনাক্ত হবে।
তবে সব চেষ্টা সত্ত্বেও কারও কারও ডায়াবেটিস হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি যদি ডায়াবেটিসকে সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রণে রাখে, তাহলে তিনি একদম সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবেন বলে জানান ড. খান।
নিয়মিত হাঁটাহাঁটি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে
কেউ যদি বংশগতভাবে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়, তবে খুব বেশি কিছু করার থাকে না। তবে পারিপার্শ্বিক প্রভাবের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মেনে চললে ডায়াবেটিস ঠেকানো যেতে পারে। যেমন-
১. প্রতিদিন এক ঘণ্টা হাঁটা
বর্তমান সময়ে জীবনযাপনের ধরনের কারণে খুব কম সংখ্যক মানুষ কায়িক পরিশ্রম করেন। আর এই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হবার প্রবণতাকে উসকে দেয়।
ড. খান বলেন, এজন্য প্রতিদিন নিয়ম করে অন্তত এক ঘণ্টা হাঁটতে হবে। পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। খেলাধুলা বাড়ানো যেতে পারে।
২. জীবনধারা বদলানো
এছাড়া যাদের পরিবার বা বাবা-মায়ের ডায়াবেটিস হওয়ার ইতিহাস রয়েছে, তাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আগেই জীবনযাপনের ধরন পাল্টানো উচিত।
যেমন- নিয়মিত খাবার খাওয়া, নিয়ম মেনে সকালে ঘুম থেকে ওঠা এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়া, যানবাহন ব্যবহার কমিয়ে হাঁটাচলা বাড়ানো, মিষ্টি জাতীয়, ফাস্টফুড ও তৈলাক্ত খাবার পরিহার করা ইত্যাদি।
৩. ধূমপান ও মদ্যপান ছেড়ে দেয়া
ডায়াবেটিস রোগ ঠেকাতে যেসব খারাপ অভ্যাস সবার আগে বাদ দিতে হবে, তার মধ্যে রয়েছে ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস। কারণ এগুলো ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বাড়িয়ে দেয়।
৪. অস্বাস্থ্যকর খাবার বাদ দেয়া
সাধারণ মিষ্টিজাতীয় খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্টফুড, কোমল পানীয়, ভারী খাবার স্থূলতার ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দেয়। ফলে শরীরের ওজনের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে, যাতে কোনভাবেই অতিরিক্ত ওজন বা মুটিয়ে যাওয়া না হয়।
এজন্য বিশেষজ্ঞরা এ ধরনের খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন।
এছাড়া এক বেলা পেট ভরে না খেয়ে পরিমাণে অল্প অল্প করে বিরতি দিয়ে খাওয়া।
৫. রক্তে চিনির মাত্রার ওপর নজর রাখুন
যাদের শিশুর ঘনিষ্ঠ স্বজনদের ডায়াবেটিসের ইতিহাস রয়েছে, তাদের বছরে অন্তত একবার করে পরীক্ষা করাতে হবে।
সেই সঙ্গে বছরে অন্তত একবার লিপিড প্রোফাইল ও রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাও পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
ফলে ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলেও দ্রুত তা শনাক্ত হবে।
তবে সব চেষ্টা সত্ত্বেও কারও কারও ডায়াবেটিস হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি যদি ডায়াবেটিসকে সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রণে রাখে, তাহলে তিনি একদম সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবেন বলে জানান ড. খান।
0 Comments