অবরুদ্ধ পূর্ব জেরুসালেমে আল-আকসা মসজিদের পাশে দু’টি ফিলিস্তিনি ভবন দখল করেছে ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরা। গতকাল শুক্রবার সকালে শহরে মুসলিম কোয়ার্টারে হঠাৎ করেই ঢুকে পরে ইসরাইলিরা। ভবনটি একটি ক্লিনিক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।
আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণটি মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। ইহুদিরাও তাদের পবিত্র স্থান বলে মনে করে। মুসলিমরা একে আল হারাম আল শরিফ নামে ডেকে থাকেন। আর ইহুদিরা এ স্থানটিকে ডাকেন টেম্পল মাউন্ট নামে। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে যখন ইসরাইল এ এলাকাটি দখল করে তখনো শুধু মুসলিমরাই আল-আকসায় নামাজ পড়তে পারতেন। কেবল দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় সেখানে প্রার্থনার সুযোগ পেত ইহুদিরা। বিগত ৫০ বছর ধরে চলা এই পাল্টে ফেলতে চাচ্ছে ইসরাইল।
অবৈধ দথলদার এখন আল-আকসার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কয়েক বছর ধরে ইসরাইলি রাজনীতিবিদ ও ইহুদি সংগঠনগুলোর মসজিদ প্রাঙ্গণ পরিদর্শনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা হতে দেখা গেছে। ফিলিস্তিনিদের আশঙ্কা, ইসরাইলি কট্টরপন্থীরা আল-আকসা প্রাঙ্গণের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়।
গত দুই দিনে এ নিয়ে দ্বিতীয় ভবন দখল করল ইসরাইল। অবৈধ ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরা এর আগেও এমন করেছে। অনেকবারই ফিলিস্তিনিদের ঘর থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে তারা। বাতান আল হাওয়ার সিটি অব ডেভিডের জাতীয় উদ্যানে চলে এমন পরিকল্পনা। আগস্ট মাসে সেখানে হেরিটেজ সেন্টার নামে একটি অংশ চালু করা হয়। এটি উদ্বোধন করেন মার্কিন ও ইসরাইলি কর্মকর্তারা। এক ফিলিস্তিনি বলেন, আমরা আগে থেকেই জানতাম যেসবই আল-আকসা দখলের পরিকল্পনারই অংশ।
২০০২ সাল থেকে বাতান আল হাওয়ার অন্তত ৭০০ জন ফিলিস্তিনিকে তাদের ভিটেমাটি থেকে বিতাড়িত করা হয়। ইসরাইলের আইন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এ জমি পায় ভেনভেনিসতি ট্রাস্ট। আর এ সংগঠনটি মূলত উগ্রপন্থী ইহুদিবাদী সংগঠন আতরেত কোহানিমের একটি সংস্থা। তারা ফিলিস্তিনি এলাকায় ইহুদিদের অবৈধ বসতিকে সমর্থন করে।
উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালের আরব যুদ্ধের পর থেকে ইসরাইল পূর্ব জেরুসালেম দখল করে রেখেছে। জেরুসালেমকে নিজেদের অবিভাজ্য রাজধানী বলে দাবি করে থাকে ইসরাইল। অবশ্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পূর্ব জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। ১৯৬৭ সালের পর পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুসালেমে শতাধিক বসতি স্থাপন করেছে ইসরাইল। পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুসালেমে স্থাপিত প্রায় ১৪০টি বসতিতে ৬ লাখেরও ইসরাইলি বসবাস করে। আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় এসব বসতি অবৈধ। মার্কিন সমর্থনের কারণে ইসরাইল এমন অবৈধ কর্মকাণ্ড অবাধে চালাতে পারছে।
গোপন শাখা থাকার অভিযোগ আন-নাহদার অস্বীকার
মিডলইস্ট মনিটর
তিউনিসিয়ার আন-নাহদা আন্দোলনের নেতা আলি লারায়েদ বামপন্থী দলগুলোর অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, তাদের দলের কোনো গোপন শাখা নেই। তিনি বলেন, আন-নাহদার বদনাম করতে ও বিতর্কিত করতেই বামপন্থী দলগুলো ও একটি জাতীয় দল নিগে গঠিত জোট পপুলার ফ্রন্ট এমন ঘৃণ্য অভিযোগ করেছে। সম্প্রতি পপুলাার ফ্রন্ট এক অভিযোগে বলেছে, আন-নাহদা একটি গোপন সংগঠন তৈরি করছে, যারা খুনখারাবি করছে।
আন-নাহদা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে দলীয় কাঠামোর বাইরে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে যারা এ ধরনের মিথ্যাচার করছে তাদের কঠোর ভাষায় নিন্দা জানানো হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যারা যুক্ত তাদের সঙ্গে আন-নাহদা আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই। বিবৃতিতে বিচার, নিরাপত্তা ও প্রেসিডেন্ট দফতরসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এবং মিত্র ও বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সাথে বৈদেশিক সম্পর্কের অপব্যবহারেরও নিন্দা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, শহীদ চকর বেলাইদ ও মোহাম্মদ ব্রাহিমির বিষয়টি পুরোপুরি বিচার বিভাগের এখতিয়ারভুক্ত এবং এ ক্ষেত্রে ন্যায্যতা, স্বাধীনতা ও সম্পূর্ণ সত্য প্রকাশের ব্যাপারে এ বিভাগের প্রতি তাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আসলে পপুলার ফ্রন্ট বিগত নির্বাচনে নিজেদের ব্যর্থতা এবং তিউনিসিয়ার জনগণের জন্য কিছু করার ব্যাপারে তাদের অদক্ষতা ঢাকতে শহীদদের রক্ত ব্যবহার করতে চাচ্ছে।
গত মঙ্গলবারে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বেলাইদ ও ব্রাহিমি মামলায় আসামিপক্ষকে অভিযুক্ত করে বলা হয়, তারা এই দুই হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পর্কিত ফাইল সরিয়ে নিয়েছে। এ ফাইল এখন পর্যন্ত বিচার বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।
আন-নাহদা আন্দোলনের শূরা কাউন্সিলের প্রধান আবদুল করিম হারুনি বলেন, পপুলার ফ্রন্ট এখন বিষয়টিকে বিচার বিভাগের বাইরে নিয়ে যেতে এবং বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থাকে অস্থিতিশীল করে আন-নাহদার পতন ঘটাতে চায়।
পপুলার ফ্রন্ট চাচ্ছে, যেকোনো প্রকারে আন-নাহদাকে চকর বেলাইদ ও মোহাম্মদ ব্রাহিমির হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িয়ে ফেলতে। তিনি আরো বলেন, এই ফ্রন্ট রাষ্ট্র ও তার সংস্থাগুলোকে চিনতে পারেনি। তারা তিউনিসিয়ার বিচার ও নিরাপত্তাব্যবস্থাকে চিনতে সক্ষম হয়নি। এ কারণে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচনে ব্যর্থ হওয়ার পর তারা এই দুই হত্যাকাণ্ডকে কাজে লাগিয়ে এবং শহীদদের রক্তের ওপর ভিত্তি করে সরকারে পৌঁছতে চাইছে। বিচার বিভাগকে আন-নাহদা নিয়ন্ত্রণ করছে- পপুলার ফ্রন্টের এমন অভিযোগের কড়া নিন্দা জানিয়ে হারুনি বলেন, তিউনিসিয়ার বিচার বিভাগ পুরোপুরি স্বাধীন এবং লুৎফি নাকথসহ বেশ কয়েকটি মামলায় এটি প্রমাণিত হয়েছে। এ সময় তিনি ১৪ জানুয়ারির বিপ্লবের আগে রাজনৈতিক পুলিশের সাথে কাজ করা পপুলার ফ্রন্টের বেশ কয়েকজন নেতার নাম প্রকাশ করে বলেন, তারা রাজনৈতিকভাবে আন-নাহদাকে মোকাবেলা করতে অক্ষম।
আন-নাহদা আন্দোলনের শূরা কাউন্সিলের প্রধান আবদুল করিম হারুনি বলেন, পপুলার ফ্রন্ট এখন বিষয়টিকে বিচার বিভাগের বাইরে নিয়ে যেতে এবং বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থাকে অস্থিতিশীল করে আন-নাহদার পতন ঘটাতে চায়।
পপুলার ফ্রন্ট চাচ্ছে, যেকোনো প্রকারে আন-নাহদাকে চকর বেলাইদ ও মোহাম্মদ ব্রাহিমির হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িয়ে ফেলতে। তিনি আরো বলেন, এই ফ্রন্ট রাষ্ট্র ও তার সংস্থাগুলোকে চিনতে পারেনি। তারা তিউনিসিয়ার বিচার ও নিরাপত্তাব্যবস্থাকে চিনতে সক্ষম হয়নি। এ কারণে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচনে ব্যর্থ হওয়ার পর তারা এই দুই হত্যাকাণ্ডকে কাজে লাগিয়ে এবং শহীদদের রক্তের ওপর ভিত্তি করে সরকারে পৌঁছতে চাইছে। বিচার বিভাগকে আন-নাহদা নিয়ন্ত্রণ করছে- পপুলার ফ্রন্টের এমন অভিযোগের কড়া নিন্দা জানিয়ে হারুনি বলেন, তিউনিসিয়ার বিচার বিভাগ পুরোপুরি স্বাধীন এবং লুৎফি নাকথসহ বেশ কয়েকটি মামলায় এটি প্রমাণিত হয়েছে। এ সময় তিনি ১৪ জানুয়ারির বিপ্লবের আগে রাজনৈতিক পুলিশের সাথে কাজ করা পপুলার ফ্রন্টের বেশ কয়েকজন নেতার নাম প্রকাশ করে বলেন, তারা রাজনৈতিকভাবে আন-নাহদাকে মোকাবেলা করতে অক্ষম।
0 Comments