
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ‘হোক্কাইডো দ্বীপে’ সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করতে পারে টোকিও। এবার এর বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া।
রাশিয়া জানিয়েছে, দেশটির বর্তমানে আর ব্যবহৃত না হওয়া পরমাণু ডুবোজাহাজ ভেঙ্গে ফেলায় সহযোগিতার ব্যাপারে যে চুক্তি জাপানের সাথে স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তা থেকে দেশটি বেরিয়ে আসছে।
"রুশ ফেডারেশনে পরমাণু অস্ত্র ধ্বংসে সহযোগিতা" সংক্রান্ত এই চুক্তিতে ইতি টানার জন্য বৃহস্পতিবার রুশ সরকার একটি আদেশ জারি করে।"
জাপানকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানোর জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয় রুশ সরকার।
পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ এবং পরিবেশগত সমস্যাদি সমাধানে সহযোগিতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে সোভিয়েত ইউনিয়ানের পতনের পর ১৯৯৩ সালের অক্টোবর মাসে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
চুক্তি অনুযায়ী, রুশ দূর প্রাচ্যে পরিত্যক্ত রাশিয়ার বর্তমানে আর ব্যবহৃত না হওয়া পরমাণু ডুবোজাহাজ ভেঙ্গে ফেলার কাজ আরম্ভ হয়। এ কাজে জাপান আর্থিক ও প্রাযুক্তিক সহায়তা দেয়।
চুক্তিতে সমাপ্তি টানার কোনো কারণ রাশিয়া উল্লেখ করেনি।
টোকিও,গত ২৬ মে, ২০২৩ ইউক্রেনে আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাপান। রাশিয়ার সামরিক খাতের পাশাপাশি নির্মাণ ও প্রকৌশল খাতকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সেনা প্রেরণের পর থেকে রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাঞ্জা আরোপ করা হলেও কিয়েভ ও তার মিত্রদের পক্ষ থেকে মস্কোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের সতর্কবার্তা আসছে।
জাপানের হিরোশিমায় আয়োজিত জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের পর টোকিও’র সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়। ব্লকের নেতারা রাশিয়ার যুদ্ধ যন্ত্রকে দূর্বল করার লক্ষে প্রযুক্তি, শিল্প সরঞ্জাম ও পরিষেবার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যপারে সম্মত হন।
জাপানকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানোর জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয় রুশ সরকার।
পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ এবং পরিবেশগত সমস্যাদি সমাধানে সহযোগিতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে সোভিয়েত ইউনিয়ানের পতনের পর ১৯৯৩ সালের অক্টোবর মাসে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
চুক্তি অনুযায়ী, রুশ দূর প্রাচ্যে পরিত্যক্ত রাশিয়ার বর্তমানে আর ব্যবহৃত না হওয়া পরমাণু ডুবোজাহাজ ভেঙ্গে ফেলার কাজ আরম্ভ হয়। এ কাজে জাপান আর্থিক ও প্রাযুক্তিক সহায়তা দেয়।
চুক্তিতে সমাপ্তি টানার কোনো কারণ রাশিয়া উল্লেখ করেনি।
টোকিও,গত ২৬ মে, ২০২৩ ইউক্রেনে আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাপান। রাশিয়ার সামরিক খাতের পাশাপাশি নির্মাণ ও প্রকৌশল খাতকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সেনা প্রেরণের পর থেকে রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাঞ্জা আরোপ করা হলেও কিয়েভ ও তার মিত্রদের পক্ষ থেকে মস্কোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের সতর্কবার্তা আসছে।
জাপান সরকারের শীর্ষ মুখপাত্র হিরোকাজু মাতসুনো সাংবাদিকদের বলেন, রাশিয়ার ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর সম্পদ জব্দ করা, সামরিক-সম্পর্কিত সংস্থাগুলিতে পণ্য রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞাসহ রাশিয়ায় নির্মাণ ও প্রকৌশল পরিষেবা রপ্তানির উপর জাপানি নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা রয়েছে।
জাপান সরকার জানায়, উচ্চ-স্তরের সামরিক কর্মকর্তাসহ ১৭ ব্যক্তি ও ৭৮টি গোষ্ঠীর সম্পদ জব্দ এবং রুশ মোবাইল ফোন অপারেটর মেগাফোনসহ ৮০টি সংস্থা রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছে।
সম্প্রতি মস্কোর বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে এফ-১৬ ফাইটার ও সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতিসহ নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
বেলারুশের নেতা আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো বৃহস্পতিবার বলেছেন, মস্কো তার ভূখন্ডে পারমানবিক অস্ত্র মোতায়েন শুরু করেছে। মাতসুনো বলেন এতে পরিস্থিতি আরো জটিল হবে। লুকাশেঙ্কো বলেন, যুদ্ধকালীন সময়ে পারমাণবিক বোমা হামলার শিকার একমাত্র দেশ হিসেবে জাপান কখনই রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি সহ্য করবে না।

অ্যান্টনি ব্লিনকেন
সিউল বলেছে, অস্ত্র ও গোলাবারুদের বিনিময়ে রাশিয়ার কাছ থেকে মহাকাশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা পাচ্ছে পিয়ংইয়ং।
সদ্য টোকিওতে বিশ্বের শিল্পোন্নত রাষ্ট্রগুলোর জোট জি৭-এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে অংশ নেওয়ার পর ব্লিনকেন গতকাল দক্ষিণ কোরিয়া সফরে যান। সেখানে তিনি প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওলসহ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে প্রেসিডেন্ট ইয়ুনের উপস্থিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্লিনকেন বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান ও বিপজ্জনক সামরিক সহযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
ব্লিনকেন বলেন, ‘আমরা লক্ষ করছি, ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য রাশিয়াকে অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে উত্তর কোরিয়া। আমরা এ-ও দেখতে পাচ্ছি, (বিনিময়ে) উত্তর কোরিয়ার মহাকাশ ও সামরিক কর্মসূচিতে সহযোগিতা করছে রাশিয়া।’
ইউক্রেনে আগ্রাসনের জন্য রাশিয়া এবং পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র বিষয়ক কর্মসূচির কারণে উত্তর কোরিয়া আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। এই দুই দেশের সামরিক সহযোগিতা যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়া বলছে, অস্ত্র সরবরাহের বিনিময়ে রাশিয়ার কাছ থেকে উত্তর কোরিয়া মহাকাশে সামরিক গোয়েন্দা স্যাটেলাইট স্থাপন করার প্রযুক্তিবিষয়ক সহায়তা পাবে। তবে উত্তর কোরিয়া যে রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করছে সে বিষয়ে কেউ কোনো প্রমাণ দেখাতে পারবে না বলে গত মাসে দাবি করেছিল ক্রেমলিন।
এদিকে জ্যেষ্ঠ মার্কিন জেনারেল চার্লস ফ্লিন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনা বাহিনী ‘বিরাট অগ্রগতি’ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, চীন এ অঞ্চলে তার সক্ষমতা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ‘আরো আক্রমণাত্মক’ হয়ে উঠেছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগের।
জেনারেল ফ্লিন প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলভিত্তিক এক লাখ সাত হাজারেরও বেশি মার্কিন সেনা পরিচালনার দায়িত্বে।
নিন্দায় মুখর আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান
বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া (South Korea) ও জাপান (Japan) এই তিন দেশের বিদেশ সচিবদের পক্ষ থেকে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। যেখানে বলা হয়েছে, “আমরা নিশ্চিত উত্তর কোরিয়ার তরফে যা যা অস্ত্রশস্ত্র রাশিয়াকে পাঠানোর কথা ছিল তার মধ্যে বেশ কয়েকটি সরবরাহ করা হয়ে গিয়েছে। এই অস্ত্রগুলো মস্কো ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করবে। ফলে রুশ আগ্রাসানে মানুষের হতাহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। পিয়ংইয়ং রাশিয়াকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে যার বদলে তারাও রুশ প্রশাসনের থেকে সামরিক সহযোগিতা পেতে পারে। এইভাবে উত্তর কোরিয়া নিজেদেরকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে চাইছে। গোটা পরিস্থিতির উপর আমরা তীক্ষ্ণ নজর রাখছি।”
বলে রাখা ভালো, কয়েকদিন আগেই হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি জানান, আমেরিকার (US) বিশ্বাস উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উন রাশিয়ার অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র তৈরির প্রযুক্তির নাগাল পেতে চাইছেন। তাই মস্কোকে সাহায্য করে উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনী ও পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদনকে শক্তিশালী করাই তাঁর উদ্দেশ্য। কিমের থেকে পাওয়া এই অস্ত্রগুলোই রাশিয়া যুদ্ধের ময়দানে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে। এবিষয়ে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে কয়েকটি ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, অস্ত্র বোঝাই কন্টেনারগুলো রাশিয়ার (Russia) জাহাজে তোলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকার চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে রুশ সফরে গিয়েছিলেন কিম (Kim Jong Un)। বৈঠক করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) সঙ্গে। যুদ্ধের ময়দানে মস্কোকে নিঃশর্তভাবে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক। তখন থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধ আবহে দুই দেশের মধ্যে অস্ত্র চুক্তি হতে পারে। এর আগেও কিমের দেশের বিরুদ্ধে ক্রেমলিনকে অস্ত্র দেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছিল ওয়াশিংটন।
0 Comments