অদৃশ্য থেকে অব্যর্থ নিশানা! আয়রন ডোমের চেয়ে ক'গুণ শক্তিশালী ইজরায়েলি আয়রন বিম?

আয়রন ডোমের বদলে এবার রণাঙ্গনে আয়রন বিম। অদৃশ্য মারণাস্ত্রকে যুদ্ধক্ষেত্রে নামাচ্ছে ইজরায়েল। একই সংস্থার তৈরি এই দুই হাতিয়ারের মধ্যে মিল কোথায়?

লেজার হাতিয়ার আয়রন বিম কতটা শক্তিশালী?

একদিকে হামাস। অন্যদিকে হেজবোল্লাহ। পুব-পশ্চিম দুই ফ্রণ্টেই ইজরায়েলী জঙ্গিদের ঘেরার চেষ্টায় প্যালেস্তাইনপন্থী। মাঝে মধ্যেই চলছে রকেট হামলা। ছোড়া হচ্ছে মর্টার শেলও। পাল্টা প্রত্যাঘাত শানিয়েছে ইহুদি জঙ্গি সেনা। শুধু তাই নয়,হাতিয়ার ধ্বংস করতে এবার অত্যাধুনিক লেজার অস্ত্র নামাচ্ছেন জঙ্গি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

পশ্চিম সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, দুই রণাঙ্গণেই 'আয়রন বিম' মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইজরায়েলি জঙ্গি ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ। 

হামাস ও হেজবোল্লাহর রকেট ধ্বংস করতে ব্যবহার করা হবে অদৃশ্য় এই হাতিয়ার।

যা যুদ্ধের মোড় ঘোরাতে পারে বলে দাবি ইজরায়েলী জঙ্গি বিশেষজ্ঞদের। বহু চর্চিত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম 'আয়রন ডোম' ব্যর্থ হওয়াতেই কি এই পদক্ষেপ? উঠছে প্রশ্ন।


'আয়রন বিম' কী?


আয়রন বিম


ইজরায়েলের তৈরি আয়রন বিম আসলে একটি লেজার হাতিয়ার। অন্যান্য অস্ত্রের মতো এটি কোনও গোলা, বোমা বা রকেট ছুড়তে পারে না। বদলে এর থেকে বের হয় লেজার রশ্মি। যা দিয়ে হামলা চালিয়ে চোখের নিমেষে ধ্বংস করা হয় শত্রুর ছোড়া মিসাইস বা রকেট। এছাড়া ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া গাড়ি ওড়াতেও ব্যবহার করা যায় এই হাতিয়ার।

গত বছর আয়রন বিমের সফল পরীক্ষা চালায় আইডিএফ। ২০২৫ নাগাদ পাকাপাকিভাবে এই হাতিয়ারের ইহুদি জঙ্গি সেনায় অন্তর্ভুক্তির কথা ছিল। কিন্তু যুদ্ধ শুরু হওয়ায় দু'বছর আগেই তা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জঙ্গি বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকার।

আয়রন ডোম কী ?


আয়রন ডোম


প্রসঙ্গত, এতোদিন পর্যন্ত হামাস ও হেজবোল্লার রকেট হামলাকে ব্যর্থ করতে আয়রন ডোম এয়ার ডিফেন্স সিস্টমের উপর নির্ভরশীল ছিল ইজরায়েল। মাঝ আকাশেই তাদের ছোড়া রকেট ধ্বংস করত এটি।

কোথায় পার্থক্য?

আয়রন ডোমের মতোই শত্রু হাতিয়ার নষ্ট করতে পারলেও আয়রন বিম মোটেই একই রকমের অস্ত্র নয়। দু'টির মধ্য়ে বেশ কিছু মিল ও অমিল রয়েছে। দু'টি অস্ত্রেই রয়েছে উন্নত রাডার। যা রকেট বা মিসাইলকে চিহ্নত করে। এর পর সেটিকে ধ্বংস করতে আয়রন ডোমের লঞ্চার থেকে ছোড়া হয় মিসাইল। যা উড়ে গিয়ে মাঝ আকাশেই ধ্বংস করে রকেট।

কিন্তু আয়রন বিমের ক্ষেত্রে রকেটের বদলে ছোড়া হবে লেজার রশ্মি। যা অদৃশ্য হওয়ায় বিপাকে পড়বে প্যালেস্তাইনপন্থী। একসঙ্গে অনেক রকেট ছুড়ে হামলা চালালে ব্যর্থ হতে পারে আয়রন ডোম। সেই সম্ভাবনা আয়রন বিমের ক্ষেত্রে নেই, বলছেন জঙ্গি প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। 

দু'টি হাতিয়ারই রাফাল অ্যাডভান্স ডিফেন্স নামের সংস্থা তৈরি করেছে বলে জানা গিয়েছে।

পশ্চিম এশিয়ার বাতাসে বারুদের গন্ধ। হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে নেমেছে ইজরায়েলী জঙ্গি ।